Tag: মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর এই বিভাগে দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের  ওপর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হবে। আশা করি এগুলো তোমাদের আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে। পরীক্ষায় ভাল ফল করতে মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর এর প্রশ্নগুলি তৈরি করে নাও।
মাধ্যমিক ইংরাজি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর এই ধরনের প্রশ্নোত্তর পেতে আমাদের পেজটি নিয়মিত follow করতে থাকো।

আজ থেকে প্রায় 400 কোটি বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। তারও প্রায় একশো বছর বাদে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় 300 কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয়। এই প্রাণের সৃষ্টির আগে পর্যন্ত পৃথিবীর পরিবেশ প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল।সেগুলি হল –
i) লিথোস্ফিয়ার বা অশ্মমন্ডল,
ii) হাইড্রোস্ফিয়ার বা বারিমন্ডল এবং
iii) অ্যাটমোস্ফিয়ার বা বায়ুমণ্ডল।

  • জীবাশ্ম জ্বালানি – মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান

    জীবাশ্ম জ্বালানি – মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান

    জীবাশ্ম জ্বালানি

    মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান || দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান || WBBSE Madhyamik Physical Science || WBBSE Class X Madhyamik Physical Science || দশম শ্রেণীর পরিবেশের জন্য ভাবনা || জীবাশ্ম জ্বালানি

    জীবাশ্ম জ্বালানি

    প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ,
    আজ দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের পরিবেশের জন্য ভাবনা অধ্যায়ের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। আশা করি এগুলো তোমাদের আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করতে এই প্রশ্নগুলি তৈরি করে নাও।
    মাধ্যমিক ইংরাজি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর এই ধরনের প্রশ্নোত্তর পেতে আমাদের পেজটি নিয়মিত follow করতে থাকো।

    অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কী ?
    ANS. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন (CH4)।

    Q. সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রসমূহের শক্তির উৎস কী ?
    ANS. সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রসমূহের শক্তির উৎস নিউক্লিওফিউশান।

    Q. LPG-এর তাপমূল্য কত ? 
    ANS. LPG-এর তাপনমূল্য হল – 50 KJ/g।

    Q. LPG-এর পুরো কথাটি কী?
    ANS. LPG-এর পুরো কথাটি হল লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (Liquified Petroleum Gas)।

    Q. কোন জ্বালানির তাপন মূল্য সর্বাধিক?
    ANS. হাইড্রোজেন গ্যাসের তাপন মূল্য সর্বাধিক।

    Q. জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে উৎপন্ন দুটি বায়ু দূষক গ্যাসের নাম লেখ।
    ANS. জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে উৎপন্ন দুটি বায়ু দূষক গ্যাস হল কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) ও কার্বন মনোক্সাইড (CO)।

    Q. CNG এর পুরাে কথাটি কী?
    ANS. CNG এর পুরাে কথাটি হলাে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (Compressed Natural Gas)।

    Q. একটি প্রচলিত শক্তির নাম লেখ যা ফলে বায়ুদূষণ ঘটায় না।
    ANS. জলবিদ্যুৎ একটি প্রচলিত শক্তি হলেও বায়ুদূষণ ঘটায় না।

    Q. সৌরকোশে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
    ANS. সৌরকোশে আলোকশক্তি, বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

    Q. দুটি অপুনর্ভব শক্তি উৎসের নাম লেখো।
    ANS. দুটি অপুনর্ভব শক্তি উৎস সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি।

    Q. দুটি অচিরাচরিত কিন্তু অপুনর্নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎসের নাম লেখাে।
    ANS. দুটি অচিরাচরিত কিন্তু অপুনর্নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস হল ভূতাপ শক্তি ও পারমাণবিক শক্তি।

    জীবাশ্ম জ্বালানি
    অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
    ANS. নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে নিউক্লিও শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়

    Q. SI পদ্ধতিতে তাপনমূল্যের একক কী?
    ANS. SI পদ্ধতিতে তাপনমূল্যের একক কিলােজুল/কেজি (kJ/kg)

    Q. কোন গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাস ও বায়ােগ্যাস দুটিতেই বর্তমান?
    ANS. মিথেন গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাস ও বায়ােগ্যাস দুটিতেই বর্তমান।

    Q. কোন শক্তি প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ কোনােভাবেই সূর্য থেকে আসে না ?
    ANS. ভূতাপ শক্তি প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ কোনােভাবেই সূর্য থেকে আসে না

    Q. বায়ুকলে কোন শক্তি থেকে কোন শক্তি উৎপন্ন হয় ?
    ANS. বায়ুকলে বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন হয়।

    Q. সােলার ফার্নেসে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়? 
    ANS. সােলার ফার্নেসে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

    Q. পারমাণবিক বােমা ফাটাতে কোন্ বিক্রিয়া ঘটানাে হয়?
    ANS. পারমাণবিক বােমা ফাটাতে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানাে হয়।

    Q. বায়ােমাস কী ধরনের শক্তির উৎস?
    ANS: বায়ােমাস পুনর্নবীকরণ শক্তির উৎস।

    Q. একটি সৌরকোশে উৎপন্ন বিভব পার্থক্যের মান কত?
    ANS: একটি সৌরকোশের বিভব পার্থক্যের মান 0.5V।

    Q. সৌরকোশে পরিবাহী হিসাবে কী ব্যবহার করা হয়?
    ANS: সৌরকোশে পরিবাহী হিসাবে সিলিকন ব্যবহার করা হয়।

    Q. বায়ােগ্যাসের প্রধান উপাদান হলাে কী ?
    ANS: বায়ােগ্যাসের প্রধান উপাদান হলাে মিথেন।

    সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. বায়ােফুয়েল কী?  
    ANS. জৈব পদার্থকে পচিয়ে যে তরল জ্বালানি প্রস্তুত করা হয়, তাকে বায়ােফুয়েল বলা হয়।

    Q. মিথেনােজেনিক ব্যাকটেরিয়া কী?
    ANS. বায়ােগ্যাস প্ল্যান্টে যে সব ব্যাকটিরিয়া বায়ােমাসকে মিথেন গ্যাসে বিয়ােজিত করে, তাদের মিথেনােজেনিক ব্যাকটেরিয়া বলে। 

    Q. বায়োমাস বা জৈবভর বলতে কী বোঝো?
    ANS: যেসব জৈব পদার্থকে (উদ্ভিদ, জৈব বর্জ্য ইত্যাদি) বিশেষ পাদ্ধতিতে পরিবর্তন করে জ্বালানির উপযোগী করা হয় , তাকে বায়োমাস বলে ।যেমন – কাঠ, শুকনো লতাপাতা গোবর ইত্যাদি।

    Q. LPG -এর তাপনমূল্য 50 কিলােজুল/গ্রাম বলতে কী বােঝ?
    ANS. LPG -এর তাপনমূল্য 50 কিলােজুল/গ্রাম বলতে বোঝায় 1 গ্রাম LPG-এর সম্পূর্ণ দহনে 50 কিলো জুল তাপ উৎপন্ন হয়।

    Q. একটি জ্বালানির জ্বলন বিন্দু 55°C বলতে কী বােঝায়?
    ANS. একটি জ্বালানির জ্বলন বিন্দু 55°C বলতে বােঝায় যে 55°C উষ্ণতায় বায়ুর উপস্থিতিতে জ্বালানিটির দহন শুরু হয়।

    Q. দুটি অচিরাচরিত এবং পুনর্নবীকরণযােগ্য শক্তি উৎসের নাম লেখ।
    ANS. দুটি অচিরাচরিত এবং পুনর্নবীকরণযােগ্য শক্তি উৎস সৌরশক্তি ও সমুদ্রশক্তি ।

    Q. জ্বালানি কাকে বলে?
    ANS: যেসব দাহ্যবস্তুর দহনের ফলে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে জ্বালানি বলে।

    Q. জীবাশ্ম কাকে বলে ?
    ANS: পাললিক শিলার অভ্যন্তরে আবদ্ধ হয়ে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ বা প্রস্তরীভূত রূপকে জীবাশ্ম (fossil) বলে।

    Q. জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
    ANS: পাললিক শিলার বিভিন্ন স্তরে মৃত প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহাবশেষ প্রাকৃতিক কারণে চাপ, উত্তাপ ও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে তরল, কঠিন বা গ্যাসীয় অবস্থায় প্রস্তরীভূত হয়। একে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। যেমন— কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস।

    জীবাশ্ম জ্বালানি
    সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. জ্বালানির তাপন মূল্য কাকে বলে?
    ANS: একক ভরবিশিষ্ট কোন জ্বালানির সম্পূর্ণ দহনে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে ঐ জ্বালানির তাপন মূল্য বলে।
    তাপন মূল্যের একক ক্যালোরি/গ্রাম বা কিলোক্যালোরি/ঘনমিটার বা কিলোজুল/কেজি (kJ/kg)।

    Q. জ্বলন বিন্দু কাকে বলে?
    ANS. কোনাে জ্বালানি সর্বনিম্ন যে উষ্ণতায় বায়ুর উপস্থিতিতে জ্বলতে শুরু করে সেই উষ্ণতাকে ঐ জ্বালানির জ্বলন বিন্দু বলে।

    Q. উপাদানগত ভাবে জ্বালানি কয় প্রকার ও কী কী?
    ANS. উপাদানগত ভাবে জ্বালানি দুই প্রকার -যথা-
    i) কার্বনযুক্ত জ্বালানি। যেমন কাঠ, কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি।
    ii) কার্বনবিহীন জ্বালানি , যেমন H2গ্যাস, নিউক্লিয়ার জ্বালানি ইত্যাদি।

    Q. কোল বেড মিথেন কাকে বলে?
    ANS. কয়লার কঠিন স্তরের মধ্যে অধিশোষিত অবস্থায় যে মিথেন গ্যাস থাকে তাকে কোল বেড মিথেন (CBM) বলে।এর প্রধান উপাদান মিথেন গ্যাস। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি রূপ।

    Q. শক্তির উৎসকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
    ANS. শক্তি উৎসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
    i) অপুঃনবীকরণযোগ্য বা প্রচলিত শক্তি
    ii) পুনঃনবীকরণযোগ্য বা অপ্রচলিত শক্তি

    Q. অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তি কাকে বলে?
    ANS. অনবীকরণ যোগ্য জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে যে সকল নবীকরণ যোগ্য শক্তি সম্পদ দৈনন্দিন প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত হয় তাদের অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তি বলে। যেমন – বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি ইত্যাদি।

    Q. নবীকরণযোগ্য শক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
    ANS. নবীকরণযোগ্য শক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
    ১) এই শক্তি সহজলভ্য
    ২) নবীকরণযোগ্য শক্তির নিঃশেষিত হবার সম্ভাবনা কম ৩) এই শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় ৪) এই শক্তি পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী গ্যাস উৎপন্ন করে না।

    Q. স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে?
    ANS. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে প্রাকৃতিক সম্পদকে সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ না করে যখন মানব জাতির উন্নয়নের কাজে যখন সুনিয়ন্ত্রিত উপায়ে সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে।

    Q. বায়ােগ্যাস কী ? উদাহরণ দাও।
    ANS: বায়ােমাসকে জলের উপস্থিতিতে বায়ুর অনুপস্থিতিতে মেথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া দিয়ে বিয়ােজিত করলে যে গ্যাসীয় মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে বায়ােগ্যাস বলে।

    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. ভালাে জ্বালানির বৈশিষ্ট্য কী?
    ANS: ভালো জ্বালানির বা আদর্শ জ্বালানির বৈশিষ্ট্যগুলি হল–
    i) জ্বালানির তাপন মূল্য বেশি হতে হবে।
    ii) জ্বালানির মূল্য কম এবং সহজলভ্য হতে হবে।
    iii) জ্বলনাঙ্ক হবে যথাযথ অর্থাৎ মাঝারি মানের, খুব কমও নয় আবার, খুব বেশিও নয়।
    iv) জ্বালানির দহনে ধোঁয়া বা পরিবেশ দুষক গ্যাস যথাসম্ভব কম নির্গত হবে।
    v) সহজে সংরক্ষণ করা যাবে।

    Q. জীবাশ্ম জ্বালানির সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা লেখাে।
    ANS: জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং এটি অপুনর্ণবীকরণ শক্তির উৎস। পৃথিবীতে সঞ্চিত জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ নির্দিষ্ট সূতরাং জীবনযাত্রার মানের উন্নতির জন্যে প্রয়ােজনীয় শক্তির চাহিদা মেটাতে যদি বেহিসাবিভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করা হয় তবে অচিরেই জীবাশ্ম জ্বালানির ভান্ডার শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমালে উৎপন্ন CO2 গ্যাসের পরিমাণও বাতাসে কম হবে ফলে বায়ুদূষণ কম ঘটবে এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে, ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা কমবে।। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির উপযুক্ত সংরক্ষণ না করা গেলে মানব সভ্যতা অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

    Q. ভূতাপ শক্তির সুবিধাগুলি লেখাে।
    ANS: ভূতাপ শক্তির সুবিধাগুলি হল :
    i) ভূতাপ শক্তির যােগান অফুরন্ত এবং নিরবিচ্ছিন্ন।
    ii) ভূতাপ শক্তির দ্বারা পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা খুবই কম।

    Q. ভূতাপ শক্তির অসুবিধাগুলি উল্লেখ করাে। 
    ANS: ভূতাপ শক্তির অসুবিধা :
    i) ভূতাপ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
    ii) এই শক্তির উৎপাদন খরচ প্রচলিত শক্তির উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশি।
    iii) এই শক্তি উৎপাদনের সময় মাটির অভ্যন্তরে জলস্তরের দূষণ ঘটতে পারে।

    জীবাশ্ম জ্বালানি
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারে সুবিধাগুলি কি কি ?
    ANS: i) অপ্রচলিত শক্তি সাধারণত পরিবেশবান্ধব অর্থাৎ এর ব্যবহার পরিবেশদূষণ ঘটায় না।
    ii) অপ্রচলিত শক্তি নবীকরণযােগ্য অর্থাৎ এর শক্তির ভান্ডার অফুরন্ত।
    iii) এই শক্তি সহজলভ্য।

    Q. সৌরকোশ ব্যবহারের সুবিধাগুলি আলােচনা করাে।
    ANS: i) সৌরকোশ থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ-এ পরিবেশ দূষণ হয় না।
    ii) যে সব জায়গায় প্রথাগত উপায়ে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না সে সব জায়গায় সৌর প্যানেলের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।
    iii) সৌরকোশ স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম।
    iv) সৌরশক্তি প্রবহমান ও অফুরন্ত, নিঃশেষ হবার সম্ভাবনা নেই, তাই ইচ্ছেমতাে ব্যবহার করা যেতে পারে।
     v) প্রত্যন্ত পাহাড়ি বা দুর্গম অঞ্চলে কম মূলধনে ঝুঁকিহীনভাবে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

    Q. জোয়ার-ভাটা শক্তি ব্যবহার এর অসুবিধাগুলি লেখো।
    ANS: জোয়ার-ভাটা শক্তি ব্যবহার এর অসুবিধাঃ
    i) পৃথিবীর শুধুমাত্র উচ্চ জোয়ার অঞ্চলেই জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
    ii) জোয়ার-ভাটা শক্তি উৎপাদনের জন্যে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়ােজন যা যথেষ্ট ব্যয়বহুল।।iii) জোয়ার-ভাটা থেকে শক্তি উৎপাদন করার জন্যে যে বাঁধ দিতে হয় সেখানে পচনশীল বর্জ্য পদার্থগুলি জমা হয়ে দূষণ সৃষ্টি করে।

    জীবাশ্ম জ্বালানি
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

    Q. মিথেন হাইড্রেট কী?
    ANS: মিথেন হাইড্রেটঃ জলের অনু দ্বারা সৃষ্ট খাঁচার মতো গঠনে নিম্ন উষ্ণতা ও উচ্চচাপে আবদ্ধ মিথেনকে মিথেন হাইড্রেট বলা হয়। মিথেন হাইড্রেট হল এক ধরনের কঠিন ক্ল্যাথরেট যৌগ। মিথেন হাইড্রেট এর সংকেত হলো 4CH4, 23H2O । মিথেন হাইড্রেটকে চাপ হ্রাস বা উত্তপ্ত করলে মিথেন উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে মিথেন এর ঘনত্ব খুব বেশি হয় তাই এটি জ্বললে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় এই কারণে মিথেন হাইড্রেট কে আগুনে বরফ বা ফায়ার আইসও বলা হয়। STP তে 1 লিটার কঠিন মিথেন হাইড্রেট থেকে প্রায় 160 – 170 লিটার মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। ভবিষ্যাতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এটি বিশেষ সহায়ক হবে।

    Q. মিথেন হাইড্রেট কে আগুনে বরফ বা ফায়ার আইস বলা হয় কেন?
    ANS: মিথেন হাইড্রেটের মধ্যে মিথেন এর ঘনত্ব খুব বেশি এবং মিথেন দাহ্য পদার্থ হওয়ায় এটি আগুনের সংস্পর্শে আসা মাত্র জ্বলতে থাকে। এই কারণে মিথেন হাইড্রেট কে আগুনে বরফ বা ফায়ার আইস (Fire ice) বলা হয়।

  • ওজোন স্তর Madhyamik Physical Science

    ওজোন স্তর Madhyamik Physical Science

    ওজোন স্তর

    দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় || মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান || দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান || WBBSE Madhyamik Physical Science || WBBSE Class X Madhyamik Physical Science || দশম শ্রেণীর ওজোন স্তর

    ওজোন স্তর আজ দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের পরিবেশের জন্য ভাবনা অধ্যায়ের ওজোন স্তরের ওপর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। আশা করি এগুলো তোমাদের আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করতে এই প্রশ্নগুলি তৈরি করে নাও।
    মাধ্যমিক ইংরাজি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর এই ধরনের প্রশ্নোত্তর পেতে আমাদের পেজটি নিয়মিত follow করতে থাকো।

    অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

    Q. একটি জৈব গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখ।
    ANS: একটি জৈব গ্রিনহাউস গ্যাস হল মিথেন (CH4)

    Q. কে সর্বপ্রথম ওজোন গহ্বর লক্ষ্য করেন ?
    ANS: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জো ফোরম্যান সর্বপ্রথম ওজোন গহ্বর লক্ষ্য করেন।

    Q. ওজোন স্তরের ঘনত্ব কোন এককে প্রকাশ করা হয় ? 
    ANS: ওজোন স্তরের ঘনত্ব ডবসন এককে প্রকাশ করা হয়।

    Q. বায়ুমণ্ডলের ওজোনের পরিমাণ মাপার জন্যে কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?
    ANS: বায়ুর ওজোন মাপার যন্ত্রটির হলাে ডবসন স্পেকট্রোমিটার।

    Q. প্রকৃতিতে গ্রিন হাউস প্রভাব সৃষ্টিতে কোন্ গ্যাসের অবদান সবথেকে বেশি?
    ANS: কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের অবদান সবচেয়ে বেশি।

    Q. পৃথিবীর কোথায় ওজোনস্তরের ক্ষয় সর্বাধিক লক্ষ্য করা গেছে?
    ANS: দক্ষিণ গােলার্ধের আন্টার্কটিকা মহাদেশে ওজোনস্তরের ক্ষয় সর্বাধিক লক্ষ্য করা গেছে।

    Q. CO2 -এর তুলনায় CH4 -এর গ্রিনহাউস এফেক্ট  কত গুণ বেশি?
    ANS: কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2 ) এর তুলনায় মিথেনের (CH4 ) গ্রিনহাউস এফেক্ট  20,000 গুণ বেশি।

    সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

    Q. ওজোন গহর (Ozone Hole) কী? :
    ANS: প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে স্ট্রাটোস্ফিয়ারের ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ওজোন গহ্বর বলে।

    Q. অপকারী ওজোন কাকে বলে? একে অপকারী বলে কেন ?
    ANS. * ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোনকে অপকারী ওজোন বলে।
    ** ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোন গ্রিন হাউস গ্যাস রূপে এবং বায়ু দূষক হিসাবে কাজ করে। স্ট্রাটোস্ফিয়ারের ওজোন উপকারী হলেও ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোন অপকারী। তাই ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোনকে অপকারী ওজোন বলে।

    Q. গ্রিন হাউস গ্যাসগুলি কোন্ রশ্মি শােষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে ?
    ANS: পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড রশ্মি শােষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।

    Q. গ্রিন হাউস প্রভাব কমানোের সর্বাপেক্ষা উপযােগী পদ্ধতি কী ?
    ANS: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তির বহুল ব্যবহারে গ্রিন হাউস প্রভাব কমানাে যায়।

    Q. গ্রিনহাউস গ্যাস কাকে বলে ?
    ANS: বায়ুমণ্ডলে যে সমস্ত গ্যাসীয় পদার্থের উপস্থিতির জন্য গ্রিনহাউস ক্রিয়া সংঘটিত হয় তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- CO2 , CH4, CFC, O3 ইত্যাদি।

    Q. দুটি গ্যাসের নাম লেখাে যেগুলি গ্রিন হাউস গ্যাস নয়। 
    ANS: অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন গ্যাস গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।

    Q. CFC-এর পুরো কথাটি কী?
    ANS: CFC-এর পুরো কথাটি ক্লোরোফ্লুরো কার্বন।

    ওজোন স্তর
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    ওজোন স্তর::
    স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর মধ্যে অবস্থিত আশঁটে গন্ধযুক্ত O3 দ্বারা গঠিত স্তর, যা সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর UV রশ্মি শোষণ করে তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীর প্রাণীকূলকে রক্ষা করে। ওজোন স্তরের ঘনত্বকে ডবসন একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বায়ুমন্ডলে ওজনের স্বাভাবিক গড় ঘনত্ব প্রায় 300 DU.

    Q. বায়ুমণ্ডলে ওজোনস্তর সৃষ্টি হয় কিভাবে?
    ANS: বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাস সৃষ্টি হয় দুটি অনুক্রমিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। প্রথম বিক্রিয়ায় দ্বিপারমাণবিক অক্সিজেন অনু অতিবেগুনি  ফোটন কণার দ্বারা দুটি অক্সিজেন পরমানুতে বিয়োজিত হয়। বিক্রিয়াটি হল —  
    O2 —(uv/ফোটন(hv))—> O + O
    দ্বিতীয় বিক্রিয়ায় এই অক্সিজেন পরমাণুর সঙ্গে দ্বিপারমাণবিক অক্সিজেন অনু যুক্ত হয়, ফলে ওজন অণুর সৃষ্টি হয়। এটি একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া । বিক্রিয়াটি হল —
    2O2+2O —> 2O3 + তাপ

    Q. কী কী কারনে ওজোনস্তরের ক্ষয় (ধ্বংস ) হয়? অথবা
    ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয় কেন ?
    ANS: ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট এই দুই কারণে ওজনস্তর ধ্বংস হয়।
    i) প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ওজনস্তরের ক্ষয়ঃ নিম্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোক রশ্মি শোষণ করে ওজোন অণু অক্সিজেন পরমাণুতে বিভাজিত হয়।
    O3 + hv ––> [O] + [O]
    বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রিক অক্সাইড-ও ওজোন অণুকে বিভাজিত করে।
    O3 + NO —> O2 + NO2
    ii) মনুষ্যসৃষ্ট কারণঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ারে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট প্লেনের যাত্রায় জ্বালানির দহনে উৎপন্ন নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ(NOx) এবং ট্রপোস্ফিয়ার থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়া আগত  ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) যৌগসমূহ ওজোন স্তরের ক্ষয় সাধন করে। 
    ওজোন স্তর ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহের ভূমিকাঃ প্রকৃতিতে দূষণের ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলো ওজোনকে (O3) অক্সিজেনে(O2) বিয়োজিত করে। ফলে ওজোন স্তর পাতলা হয় ।

    ওজোন স্তর
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    Q. ওজোন স্তর ধ্বংসে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর ভূমিকা লেখ।
    ANS: ওজোন স্তর ধ্বংসে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর ভূমিকাঃ বর্তমানে শিল্পে প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) ওজোন স্তরের ক্ষতি সাধন করছে। নিষ্ক্রিয় ও অদাহ্য হওয়ায় এই CFC গ্যাসগুলি দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌছে ওজোনস্তর ধ্বংসে অনুঘটক রূপে কাজ করে। স্ট্রাটোস্ফিয়ারে CFC অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে বিভাজিত হয়ে সক্রিয় CI (মুক্তমূলক) উৎপন্ন করে। এটি ওজোনকে(O3) ভেঙে অক্সিজেনে(O2) বিয়ােজিত করে।
    CFCl3 —(UV)—> CFCl2 + Cl, 
    Cl + O3 —> ClO + O2,
    ClO + O3 — Cl + 2O2

    Q. ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি লেখ।
    ANS: ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষতিকারক প্রভাব
    পৃথিবীকে ঘিরে থাকা ওজোনস্তরের ক্ষতি হওয়ার ফলে বেশি পরিমাণে অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৌঁছাচ্ছে। তার ফলে যে ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো দেখা যাচ্ছে তা হল — (I) মানুষের উপর প্রভাব – মানুষের ত্বকে ক্যান্সার, চোখে ছানি পড়া, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে  
    (II) প্রাণীর ওপর প্রভাব — নিম্ন শ্রেণীর প্রানীর বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার ব্যাহত হচ্ছে, প্রাণীর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। 
    (III) উদ্ভিদের ওপর প্রভাব — কয়েক শ্রেণীর উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়,  উদ্ভিদের পাতা, ফল ও বীজের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়
    (IV) পরিবেশের উপর প্রভাব — পৃথিবীতে উষ্ণতার বৃদ্ধি ঘটবে।

    ওজোন স্তর
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    Q. গ্রিনহাউস কি?
    ANS: গ্রীন হাউস হল কাচের দেওয়াল ও ছাদযুক্ত এক বিশেষ ধরনের ঘর যার ভেতরে শীতপ্রধান দেশে সবজি ও ফল চাষ করা হয়। দিনের বেলা সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোক তরঙ্গ খুব সহজেই ঐ কাচ ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করে কিন্তু প্রতিফলিত হয়ে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্টও আলোক তরঙ্গে পরিণত হয়। ঐ দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট প্রতিফলিত রশ্মি পুনরায় কাচ ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না ফলে ঘরের অভ্যন্তরে সর্বদা উষ্ণ থাকে।

    Q. গ্রীন হাউস এফেক্ট কাকে বলে?
    ANS: বায়ুমন্ডলের গ্যাসীয় পদার্থ সমূহ সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকে পৃথিবীতে প্রবেশ করতে বাধা দেয় না কিন্তু পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে উত্তপ্ত হয়। বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস দ্বারা শোষিত এই তাপের কিছুটা পৃথিবীপৃষ্ঠে ফিরে আসে হলে ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে সবুজ ঘর প্রভাব বা গ্রীন হাউস এফেক্ট বলে।

    Q. গ্রীন হাউস গ্যাসগুলো কি কি ?
    ANS. গ্রীন হাউস গ্যাস গুলো হল – কার্বন-ডাই-অক্সাইড(CO2) জলীয় বাষ্প, মিথেন(CH4), CFC, ওজোন(O3)এবং নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ ।
    *** N2, O2 গ্রীন হাউজ গ্যাস নয় ।

    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    Q. গ্রিনহাউস গ্যাস ও গ্লোবালওয়ার্মিং-এর সম্পর্ক লেখাে  
    ANS: বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত যে সকল গ্যাস দীর্ঘতরঙ্গ যুক্ত অবলােহিত আলাে শােষণ করে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায়, তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলা হয়। যেমন – CO2 , CH4, CFC, O3 ইত্যাদি।   প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে যাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। অর্থাৎ গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণ।

    Q. বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কী বােঝায়? 
    ANS. বিশ্ব উষ্ণায়ন: মানুষের বিবিধ ক্রিয়াকলাপের ফলে ট্রপােস্ফিয়ারে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে সারা বিশ্বজুড়ে বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই ঘটনাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রতিবছর প্রায় 0.05°C করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    Q. গ্রিন হাউস প্রভাব কীভাবে জীব জগতের অস্তিত্ব রক্ষায় সাহায্য করে?
    ANS. গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সমগ্র জীবকুলের বেঁচে থাকার অনুকূল হয় এবং এই প্রভাবের জন্য দায়ী গ্যাসগুলি যদি বাতাসে না থাকতাে তবে পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা –30°C এর কাছাকাছি হতাে। ফলে জীব জগতের অস্তিত্বই থাকতাে না। সেই দিক থেকে বলতে গেলে গ্রিন হাউস প্রভাব জীবজগতের ও উদ্ভিদজগতের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। 

    ওজোন স্তর
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    Q. গ্রীন হাউস এফেক্ট বৃদ্ধির প্রভাবগুলি লেখ।
    ANS. গ্রীন হাউস এফেক্ট বৃদ্ধির প্রভাব –
    (i) পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ার কারণে হিমবাহের গলনের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল গুলির জলমগ্ন হবে
    ii)  উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে নানা অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন হবে যার ক্ষতিকর প্রভাব কৃষিক্ষেত্রে এবং জীবজগতের উপর পড়বে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় এর সংখ্যা বাড়বে
    iii) উষ্ণতা বাড়ার ফলে মহামারী সৃষ্টিকারী রোগ-জীবাণুর অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি হবে iv)  উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ ঘটবে
    v) অধিক বাষ্পীভবনের ফলের মেঘের ছাউনি প্রসারিত হবে ফলে কোথাও অতিবৃষ্টি এবং কোথাও বা অনাবৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে 

    Q. বিশ্ব  উষ্ণায়নের জন্য দায়ি CH4 এবং N2O এর উৎস কী?
    ANS. * CH4 এর উৎস: পচা জৈব আবর্জনা, গবাদি পশুর মল, কিংবা ধানক্ষেত থেকে নির্গত CH4 গ্যাস
    ** N2O এর উৎস: কৃষি জমিতে ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সার ও দাবানল ।

    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    Q. বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর উপায়গুলি লেখ।
    অথবা গ্রিন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি লেখাে। 
    ANS. বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর উপায়ঃ বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে হলে গ্রীন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হওয়া কমাতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে —
    i) জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা পেট্রোলিয়াম ইত্যাদির ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তি (সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদি) বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
    ii) জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত যানবাহনের ব্যবহার কমাতে হবে তার পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হবে হবে।
    iii) অরণ্য ধ্বংস হ্রাস এবং বৃক্ষরোপণ ও বনসৃজন করে অরণ্যের আচ্ছাদন বৃদ্ধি করতে হবে
    iv) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন বা CFC গ্যাসের উৎপাদন এবং ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
    v) নাইট্রোজেনঘটিত অজৈব সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর ফলে বাতাসে N2O এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
    vi) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং মানুষকে বিশ্ব উষ্ণায়নের কুফল সম্বন্ধে সচেতন করতে হবে।

    ওজোন স্তর
    রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

    Q. গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে পরিবেশের উপর যে প্রতিকূল প্রভাব পড়েছে তা আলােচনা করাে।
    ANS. গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে বিশ্বউষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে পরিবেশের উপর সুদূরপ্রসারী যে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে সেগুলি হলাে–
    (i) সমুদ্র জলের পরিবর্তন: মেরু অঞ্চলের ও বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলের জমা বরফ গলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখিয়েছেন যে 2050 সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে সমুদ্র উপকূলের অনেক স্থলভাগ সমুদ্রের তলায় চলে যাবে।
    (ii) জলবায়ুর পরিবর্তন : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে উষ্ণমণ্ডলের দেশগুলিতে গ্রীষ্ম ঋতু দীর্ঘায়িত হবে ও মেরু অঞ্চলের শীত বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বজুড়ে বৃষ্টিপাত চক্র বিঘ্নিত হবে। ফলে অসময়ে বন্যা, খরা, ঝড়ঝঞ্ঝা ইত্যাদি হবে।
    (iii) ফসলের ওপর প্রভাব : অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির প্রভাবে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে।
    (iv) পরিবেশের ওপর প্রভাব : দাবানল বৃদ্ধি পাবে, পানীয় জলের যােগান কম হবে ও পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত হবে।
    (v) স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব : উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জীবাণু সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাইরাস ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াঘটিত রােগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে ফলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, হাঁপানি, অ্যালার্জী বৃদ্ধি পাবে।

error: Content is protected !!