দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল পরিবেশের জন্য ভাবনা

দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল পরিবেশের জন্য ভাবনা

দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল

|| দশম শ্রেণীর পরিবেশের জন্য ভাবনা ||মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর || Madhyamik Physical Science

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী
আজ দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের পরিবেশের জন্য ভাবনা অধ্যায়ের বায়ুমণ্ডল এর ওপর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। আশা করি এগুলো তোমাদের আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করতে এই প্রশ্নগুলি তৈরি করে নাও।
মাধ্যমিক ইংরাজি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর এই ধরনের প্রশ্নোত্তর পেতে আমাদের পেজটি নিয়মিত follow করতে থাকো।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল বিগত বছরের প্রশ্ন। সুতরাং মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য প্রত্যেক  পরীক্ষার্থীর উচিত তাদের পাঠ্যক্রম (Syllabus) শেষ করে বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করা। তাই তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করার জন্য Prostuti2022 এর পক্ষ থেকে বিগত বছরের অর্থাৎ 2023 – 2025 সালের ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান করে দেওয়া হল। তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যদি এটি সাহায্য কর তবে আমাদের এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে।

Madhyamik Previous Year (2023 – 2025) PHYSICAL SCIENCE Question with complete solution|
বিগত বছরের (2023 – 2025) মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান|

2025 সালের মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান
2024 সালের মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান
2023 সালের মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান
2017-2024 সালের মাধ্যমিক গণিত প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান
বিগত বছরের মাধ্যমিক English প্রশ্নপত্রের সম্পূর্ণ সমাধান

দশম শ্রেণীর পরিবেশের জন্য ভাবনা || দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল

আজ থেকে প্রায় 400 কোটি বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। তারও প্রায় একশো বছর বাদে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় 300 কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয়। এই প্রাণের সৃষ্টির আগে পর্যন্ত পৃথিবীর পরিবেশ প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল।সেগুলি হল –
i) লিথোস্ফিয়ার বা অশ্মমন্ডল,
ii) হাইড্রোস্ফিয়ার বা বারিমন্ডল এবং
iii) অ্যাটমোস্ফিয়ার বা বায়ুমণ্ডল।
প্রাণের সৃষ্টির পর পৃথিবীতে চতুর্থ ভাগটি যুক্ত হয় যা বায়োস্ফিয়ার বা জীবমন্ডল নামে পরিচিত। পৃথিবীর চারটি ভাগের মধ্যে আজকের আলোচ্য বিষয় হল বায়ুমণ্ডল বা অ্যাটমোস্ফিয়ার। এই বায়ুমণ্ডল বা অ্যাটমোস্ফিয়ারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নীচে আলোচনা করা হলো।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

Q. পরিচলন স্রোতের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও।
ANS: পরিচলন স্রোতের একটি উদাহরণ হলাে স্থলবায়ু বা সমুদ্রবায়ু।

Q. মেরুজ্যোতি বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে দেখা যায় ?
ANS: মেরুজ্যোতি বায়ুমন্ডলের আয়ানােস্ফিয়ার স্তরে দেখা যায়

Q. বায়ুমন্ডলের কোন্ স্তরে উল্কাপিন্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়?
ANS: বায়ুমন্ডলের মেসােস্ফিয়ারে উল্কাপিন্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Q. বায়ুমণ্ডলের কোন কোন স্তরের উষ্ণতা উচ্চতা বৃদ্ধিতে হ্রাস পায়?
ANS: ট্রপোস্ফিয়ার ও মেসােস্ফিয়ারের উষ্ণতা উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে হ্রাস পায়।

Q. ফ্রেয়নের রাসায়নিক নাম কী?
ANS: ফ্রেয়নের রাসায়নিক নাম ক্লোরোফ্লুরো কার্বন।

Q. কখন সমুদ্রবায়ুর তীব্রতা বৃদ্ধি পায় ?
ANS: সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্রবায়ুর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

Q. সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি কোন্ স্তরে শোষিত হয়?
ANS: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত ওজোনস্তর দ্বারা অতিবেগুনি রশ্মি শােষিত হয়।

Q. বায়ুমন্ডলের কোন অংশে উল্কাপিন্ড প্রবেশ করলে ধ্বংস হয়ে যায়?
ANS: বায়ুমন্ডলের মেসােস্ফিয়ার স্তরে উল্কাপিন্ড প্রবেশ করলে ধ্বংস হয়ে যায়।

Q. কোন স্তরকে উপেক্ষিত স্তর বলা হয়?
ANS: মেসোস্ফিয়ারকে উপেক্ষিত স্তর বলা হয়।

Q. কখন স্থলবায়ুর তীব্রতা বৃদ্ধি পায় ?
ANS: স্থলবায়ুর তীব্রতা ভােরবেলায় বৃদ্ধি পায় ।

Q. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে পৃথিবীর ছাতা বলা হয়?
ANS: বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরকে পৃথিবীর ছাতা বলা হয়।

Q. বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে গ্যাসের অণুগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে?
ANS: বায়ুমন্ডলের আয়নােস্ফিয়ারে গ্যাসের অণুগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে।

Q. কোন্ স্তরে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি স্থাপন করা হয়?
ANS: এক্সোস্ফিয়ারে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি স্থাপন করা হয়।

Q. বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব কোন এককের সাহায্যে মাপা হয় ?
ANS: বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব ডবসন এককের সাহায্যে মাপা হয় ।

Q. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেঘ, ঝড় ও বৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি দেখা যায়? 
ANS: মেঘ, ঝড় ও বৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি দেখা যায় ট্রপোস্ফিয়ারে।

Q. বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর কোনটি?
ANS: বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তরটি মেসােস্ফিয়ার।

Q. বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতম স্তরটি কোনটি?
ANS: বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতম স্তরটি হল থার্মোস্ফিয়ার।

Q. ODS এর পুরাে কথাটি কী ? 
ANS: ODS এর পুরাে কথাটি হলাে Ozone Depleting Susbstance অর্থাৎ ওজোন বিনষ্টকারী পদার্থসমূহ।

দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান

▶️ ওজোন স্তর
▶️ জীবাশ্ম জ্বালানি
▶️ বায়ুমণ্ডল
▶️ পরিবেশের জন্য ভাবনা MCQ

পরিবেশের জন্য ভাবনা
দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল

Q. এক্সোস্ফিয়ারে কোন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় ?
ANS: এক্সোস্ফিয়ারে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়।

Q. স্থলবায়ু কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়?
ANS: স্থলবায়ু স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।

Q. বায়ুমণ্ডলের চাপ মাপা হয় কোন যন্ত্রের সাহায্যে?
ANS: বায়ুমণ্ডলের চাপ মাপা হয় ব্যারোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে।

Q. বায়ুমণ্ডলের ওজোনের ঘনত্ব কোন এককের সাহায্যে মাপা হয়?
ANS: বায়ুমণ্ডলের ওজোনের ঘনত্ব ডবসন এককে মাপা হয়। 

Q. বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী কী?
ANS: বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।

Q. সূর্য থেকে তাপ কোন পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে?
ANS: সূর্য থেকে তাপ বিকিরণ পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে।

Q. কার্যকরী সৌরবিকিরণ কী?
ANS: সূর্যরশ্মির যে 60% ভূপৃষ্ঠ এবং বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে তাকে কার্যকরী সৌরবিকিরণ বলে।

Q. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে?
ANS: বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারকে শান্তমণ্ডল বলে।

Q. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর উষ্ণতা ও জলচক্র নিয়ন্ত্রণ কার ? 
ANS: ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল।

Q. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর থেকে বেতার তরঙ্গা প্রতিফলিত হয়?
ANS: বায়ুমণ্ডলের আয়ানােস্ফিয়ার থেকে বেতার তরঙ্গা প্রতিফলিত হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

Q. নরমাল ল্যাপস রেট কাকে বলে?
ANS: ট্রপোস্ফিয়ারে প্রতি কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা 6.5 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হারে কমতে থাকে। একেই নরমাল ল্যাপস রেট বলে।

Q. 1 DU বলতে কী বোঝায়? অথবা
ডবসন একক কী ?
ANS: 1 DU বলতে বোঝায় 1 বায়ুমন্ডলীয় চাপে 0°C উষ্ণতায় 0.01 মিলিমিটার পুরু ওজোন স্তর।

Q. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে? 
ANS: ভূপৃষ্ঠ থেকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে যে হালকা, অদৃশ্য বায়বীয় আবরণ পৃথিবীকে চাদরের মতো বেষ্টন করে রয়েছে তাকেই বায়ুমণ্ডল বলে।

Q. ক্যারম্যান রেখা কাকে বলে?
ANS: ভূপৃষ্ঠ থেকে 100 কিমি উচ্চতায় মহাকাশ ও বায়ুমন্ডলের কাল্পনিক সীমানাকে ক্যারম্যান রেখা বলে।

Q. বায়ুমন্ডলের চাপ কাকে বলে?
ANS: ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানে কোন বিন্দুর চারিদিকে একক ক্ষেত্রফলের উপর বায়ু লম্বভাবে যে বল প্রদান করে, তাকে ওই বিন্দুতে বায়ুমন্ডলের চাপ বলে। 

Q. অ্যালবেডাে কী ?
ANS: সূর্য থেকে আগত রশ্মির 60% বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে এবং বাকী 40% সূর্যরশ্মি মহাশূন্যে ফিরে যায়। এই ফিরে যাওয়া 40% সূর্যরশ্মিকে অ্যালবেডাে বলে।

Q. রাসায়নিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি? 
ANS: রাসায়নিক উপাদানের ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
i) হোমোস্ফিয়ার বা সমমন্ডল এবং
ii) হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমন্ডল।

Q. ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলে কেন?
ANS: ধুলো, ধোঁয়া মেঘ থাকায় এই স্তরে কুয়াশা, ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো ঘটতে দেখা যায়। তাই এই স্তরকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলা হয়।

Q. পরিচলন স্রোত কাকে বলে?
ANS: গ্যাসীয় বা তরল পদার্থ উত্তপ্ত হলে এদের আয়তন বাড়ে এবং ঘনত্ব হ্রাস পায় ফলে তা হালকা হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় ও ওপরের অপেক্ষাকৃত ভারী, শীতল তরল বা গ্যাস নীচে নেমে আসে। এর ফলে যে চক্রাকার স্রোতের সৃষ্টি হয় তাকে পরিচলন স্রোত বলে।

Q. প্রাকৃতিক সৌরপর্দা কী?
ANS: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজনস্তর সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শােষণ করে পৃথিবী এবং পৃথিবীতে বসবাসকারী জীবকুলকে তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। তাই এই ওজোনস্তরকে সৌরপর্দা বলে।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল

Q. বায়ুমন্ডলের হােমমাস্ফিয়ার বা সমমন্ডল এবং হেটারােস্ফিয়ার বা অসমন্ডল কাকে বলে?
ANS: * ভূপৃষ্ঠ থেকে 80 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানের রাসায়নিক গঠন বিশেষত বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত সর্বত্র প্রায় সমান থাকে। তাই এই অঞ্চলকে সমমন্ডল বা হোমোস্ফিয়ার বলে।
** সমমন্ডলের উপরে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের 80 কিমি থেকে 10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরে বায়ুর উপাদানগুলির অনুপাত এক থাকে না একারণে একে বিষমমন্ডল বা হেটারােস্ফিয়ার বলে।

Q. উচ্চতা, উষ্ণতা ও চাপের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
ANS: উচ্চতা, উষ্ণতা ও চাপের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে 6 ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
i)  ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল,
ii) স্ট্রাটোস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল,
iii) মেসোস্ফিয়ার,
iv) থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার,
v) এক্সোস্ফিয়ার, এবং 
v) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।

Q. ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
ANS: ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য গুলি হল-
i) ট্রপোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 15 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
ii) বায়ুমন্ডলের 75% উপাদান এই অঞ্চলে অবস্থিত।
iii) ট্রপোস্ফিয়ারে প্রতি কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা 6.5 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হারে কমতে থাকে।
iv) ধুলো, ধোঁয়া মেঘ থাকায় এই স্তরে কুয়াশা, ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো ঘটতে দেখা যায়। তাই এই স্তরকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলা হয়।
v) ট্রপোস্ফিয়ারের ওপরের দিকে 10 কিমি থেকে 16 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলটিকে ট্রপোপজ বলে।

পরিবেশের জন্য ভাবনা

Q. স্ট্রাটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
ANS:
i) ট্রপোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় 15 কিমি থেকে 50 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটিকে বলা হয় শান্ত মন্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার।
ii) এই স্তরের মাঝে অবস্থিত ওজোন স্তর UV রশ্মি শোষণ করে এই স্তরের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় বলে এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
iii) এই স্তরে ধূলো ধোঁয়া, মেঘ না থাকায় ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো ঘটে না। তাই এই স্তরকে শান্তমন্ডল বলে।
iv) এই স্তর দিয়ে বিমান চলাচল করে।
v) ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের মাঝে থাকা ওজোনস্তর সূর্য থেকে আসা UV রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে UV রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। তাই ওজোন স্তরকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌরপর্দা

Q. মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ। 
ANS:
i) মেসোস্ফিয়ারের বিস্তৃতি 50 কিলোমিটার থেকে প্রায় 80 কিলোমিটার পর্যন্ত।
ii) এই স্তরটি হল বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর।

Q. থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
ANS:
i) থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার 80 কিমি থেকে 500 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
ii) এই স্তরে সূর্য থেকে আসা UV রশ্মি, X রশ্মি, গামা রশ্মি ইত্যাদি শোষিত হয় বলে উষ্ণতা অত্যন্ত বেড়ে যায়। তাই এই স্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলা হয়।
iii) এই স্তরের উষ্ণতা অত্যন্ত বেশি হয়। ফলে এই স্তরে থাকা গ্যাসগুলো আয়নিত অবস্থায় থাকে। তাই এই স্তরকে আয়নোস্ফিয়ারও বলা হয়।
iv) এই স্তরে মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা সৃষ্টি হয়।
v) উল্কাপিণ্ড এই স্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই এই স্তরকে তারাখসা স্তরও বলে।
vi) এই স্তর থেকেই বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।

Q. এক্সোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখ।
ANS:
i) এক্সোস্ফিয়ার এর বিস্তৃতি 500 থেকে প্রায় 1500 কিলোমিটার পর্যন্ত।
ii) কৃত্রিম উপগ্রহ এবং স্পেস স্টেশন এই স্তরে স্থাপন করা হয়।

Q. ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
i) এই স্তর 1500 কিলোমিটার থেকে মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত।
ii) এখানে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় দেখা যায়। 

দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল

Q. ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠলে বায়ুর চাপের কী পরিবর্তন হয় ? বা
সমুদ্র সমতলে চাপ যতটা থাকে পাহাড়ের চূড়ায় বায়ুর চাপ তার চেয়ে অনেক কম হয়- কেন?
Ans: ভূপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমতে থাকে ফলে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। ভূপৃষ্ঠা থেকে প্রতি এক কিমি ওপরে উঠলে বায়ুর চাপ প্রায় ৪.5 সেমি করে হ্রাস পায়। তাই সমুদ্র সমতলে চাপ যতটা থাকে পাহাড়ের চূড়ায় বায়ুর চাপ তার চেয়ে অনেক কম হয়।

Q. কোনাে স্থানের বায়ুর উয়তার তারতম্যের কারণ হিসাবে উচ্চতার প্রভাব ব্যাখ্যা করাে। ANS: সূর্য থেকে আগত তাপ সরাসরি বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। প্রথমে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর পরিচলন পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয়, ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায়, ততই বায়ুর উষ্ণতা ক্রমশ কমতে থাকে। প্রতি এক কিমি উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বায়ুর উষ্ণতা প্রায় 6.5°C হারে কমে। তাই 3048 মিটার ওপরে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় 0°C হয়। এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ প্রভৃতি পর্বতশৃঙ্গে উষ্ণতা 0°C এর কম হয়। উষ্ণতা কমতে কমতে ট্রোপােস্ফিয়ারের সর্বোচ্চ অংশে এসে -56° হয়। স্ট্রাটোস্ফিয়ারে উষ্ণতা প্রায় স্থির থাকে। আবার আয়নােস্ফিয়ারে উষ্ণতা ক্রমশ বেড়ে প্রায় 2000°C হয়।

Q. স্থলবায়ুর উৎপত্তি ব্যাখ্যা করাে।
ANS: সূর্যরশ্মির তাপের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠের স্থলভাগের উষ্ণতা সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু রাত্রে স্থলভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দ্রুত ঠান্ডা হওয়ায় স্থলভাগের বাতাস দ্রুত ঠাণ্ডা ও ঘনীভূত হয়ে উচ্চচাপ অঞ্চল গঠন করে।কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠ তুলনামূলক বেশী উষ্ণ থাকায়, সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ু উষ্ণ হয়ে ওপর উঠে যায়, ফলে সমুদ্রে নিম্নচাপ অঞ্চল উৎপন্ন হয়।তখন স্থলভাগের বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয় একে স্থলবায়ু বলে। এই ভাবে স্থলবায়ুর সৃষ্টি হয়।

দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল

Q. ঝড় কীভাবে সৃষ্টি হয়?
ANS: জলভাগের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে তা বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়। ওপরের ঠান্ডা পরিবেশের সংস্পর্শে এসে এই বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে। মেঘ যত ঘনীভূত ও শীতল হয় তত সূর্যরশ্মি মেঘ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে মেঘের নীচের অংশের বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ অঞ্চলের সৃষ্টি করে। মেঘের বিস্তার যত বেশি হয় নিম্নচাপ ক্ষেত্রের ব্যাপ্তি তত বেশি হয়। এর ফলে পার্শ্ববর্তী উষ্ণ অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বায়ু অতি দ্রুতবেগে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয়। ফলে ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

Q. ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে কেন?
ANS: পরিচলন স্রোতের কারণে ঝড় সৃষ্টি হয়। উষ্ণ ও আদ্ৰ বায়ু হাল্কা হওয়ায় ওপরে উঠে যায়।এই উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু উপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঠাণ্ডা হয়ে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ এর সৃষ্টি হয়। জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের জন্যে নির্গত লীনতাপ ওই বায়ুকে আরও ওপরে ওঠায়। ওপরে ওঠা বায়ুর গতি স্তব্ধ হয়ে বায়ু শান্ত হয়ে যায়। এই সময়েই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত ঘটে।

পরিবেশের জন্য ভাবনা

Q. মেরুজ্যোতি কী ? সুমেরু প্রভা ও কুমেরু প্রভা কাকে বলে?
ANS: * সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনী রশ্মি, রঞ্জন রশ্মি, মহাজাগতিক রশ্মি প্রভৃতির সংঘাতের ফলে বায়ুর পরমাণুগুলি ভেঙ্গে যায় এবং আয়নের সৃষ্টি হয় এবং তড়িতাহত অনুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে অনুগুলি প্রোটন ও ইলেকট্রনের সংস্পর্শে উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে এক মৃদু আলোকরশ্মি বা জ‍্যোতি সৃষ্টি করে একে মেরুজ‍্যোতি বলে ।
** সুমেরু অঞ্চলের মেরুজ‍্যোতিকে সুমেরু প্রভা বা আরোরা বোরিয়ালিস বলে।
***কুমেরু অঞ্চলের মেরুজ‍্যোতিকে কুমেরু প্রভা বা আরোরা অস্ট্রালিস বলে।

ওজোন স্তর :- স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর মধ্যে অবস্থিত আশঁটে গন্ধযুক্ত O3 দ্বারা গঠিত স্তর, যা সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর UV রশ্মি শোষণ করে তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীর প্রাণীকূলকে রক্ষা করে। ওজোন স্তরের ঘনত্বকে ডবসন একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বায়ুমন্ডলে ওজনের স্বাভাবিক গড় ঘনত্ব প্রায় 300 DU.

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!