ওজোন স্তর Madhyamik Physical Science

দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়

ওজোন স্তর

দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় || মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান || দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান || WBBSE Madhyamik Physical Science || WBBSE Class X Madhyamik Physical Science || দশম শ্রেণীর ওজোন স্তর

ওজোন স্তর আজ দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের পরিবেশের জন্য ভাবনা অধ্যায়ের ওজোন স্তরের ওপর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। আশা করি এগুলো তোমাদের আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করতে এই প্রশ্নগুলি তৈরি করে নাও।
মাধ্যমিক ইংরাজি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর এই ধরনের প্রশ্নোত্তর পেতে আমাদের পেজটি নিয়মিত follow করতে থাকো।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Q. একটি জৈব গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখ।
ANS: একটি জৈব গ্রিনহাউস গ্যাস হল মিথেন (CH4)

Q. কে সর্বপ্রথম ওজোন গহ্বর লক্ষ্য করেন ?
ANS: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জো ফোরম্যান সর্বপ্রথম ওজোন গহ্বর লক্ষ্য করেন।

Q. ওজোন স্তরের ঘনত্ব কোন এককে প্রকাশ করা হয় ? 
ANS: ওজোন স্তরের ঘনত্ব ডবসন এককে প্রকাশ করা হয়।

Q. বায়ুমণ্ডলের ওজোনের পরিমাণ মাপার জন্যে কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?
ANS: বায়ুর ওজোন মাপার যন্ত্রটির হলাে ডবসন স্পেকট্রোমিটার।

Q. প্রকৃতিতে গ্রিন হাউস প্রভাব সৃষ্টিতে কোন্ গ্যাসের অবদান সবথেকে বেশি?
ANS: কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের অবদান সবচেয়ে বেশি।

Q. পৃথিবীর কোথায় ওজোনস্তরের ক্ষয় সর্বাধিক লক্ষ্য করা গেছে?
ANS: দক্ষিণ গােলার্ধের আন্টার্কটিকা মহাদেশে ওজোনস্তরের ক্ষয় সর্বাধিক লক্ষ্য করা গেছে।

Q. CO2 -এর তুলনায় CH4 -এর গ্রিনহাউস এফেক্ট  কত গুণ বেশি?
ANS: কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2 ) এর তুলনায় মিথেনের (CH4 ) গ্রিনহাউস এফেক্ট  20,000 গুণ বেশি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Q. ওজোন গহর (Ozone Hole) কী? :
ANS: প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে স্ট্রাটোস্ফিয়ারের ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ওজোন গহ্বর বলে।

Q. অপকারী ওজোন কাকে বলে? একে অপকারী বলে কেন ?
ANS. * ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোনকে অপকারী ওজোন বলে।
** ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোন গ্রিন হাউস গ্যাস রূপে এবং বায়ু দূষক হিসাবে কাজ করে। স্ট্রাটোস্ফিয়ারের ওজোন উপকারী হলেও ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোন অপকারী। তাই ট্রপােস্ফিয়ারের ওজোনকে অপকারী ওজোন বলে।

Q. গ্রিন হাউস গ্যাসগুলি কোন্ রশ্মি শােষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে ?
ANS: পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড রশ্মি শােষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।

Q. গ্রিন হাউস প্রভাব কমানোের সর্বাপেক্ষা উপযােগী পদ্ধতি কী ?
ANS: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তির বহুল ব্যবহারে গ্রিন হাউস প্রভাব কমানাে যায়।

Q. গ্রিনহাউস গ্যাস কাকে বলে ?
ANS: বায়ুমণ্ডলে যে সমস্ত গ্যাসীয় পদার্থের উপস্থিতির জন্য গ্রিনহাউস ক্রিয়া সংঘটিত হয় তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- CO2 , CH4, CFC, O3 ইত্যাদি।

Q. দুটি গ্যাসের নাম লেখাে যেগুলি গ্রিন হাউস গ্যাস নয়। 
ANS: অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন গ্যাস গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।

Q. CFC-এর পুরো কথাটি কী?
ANS: CFC-এর পুরো কথাটি ক্লোরোফ্লুরো কার্বন।

ওজোন স্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

ওজোন স্তর::
স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর মধ্যে অবস্থিত আশঁটে গন্ধযুক্ত O3 দ্বারা গঠিত স্তর, যা সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর UV রশ্মি শোষণ করে তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীর প্রাণীকূলকে রক্ষা করে। ওজোন স্তরের ঘনত্বকে ডবসন একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বায়ুমন্ডলে ওজনের স্বাভাবিক গড় ঘনত্ব প্রায় 300 DU.

Q. বায়ুমণ্ডলে ওজোনস্তর সৃষ্টি হয় কিভাবে?
ANS: বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাস সৃষ্টি হয় দুটি অনুক্রমিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। প্রথম বিক্রিয়ায় দ্বিপারমাণবিক অক্সিজেন অনু অতিবেগুনি  ফোটন কণার দ্বারা দুটি অক্সিজেন পরমানুতে বিয়োজিত হয়। বিক্রিয়াটি হল —  
O2 —(uv/ফোটন(hv))—> O + O
দ্বিতীয় বিক্রিয়ায় এই অক্সিজেন পরমাণুর সঙ্গে দ্বিপারমাণবিক অক্সিজেন অনু যুক্ত হয়, ফলে ওজন অণুর সৃষ্টি হয়। এটি একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া । বিক্রিয়াটি হল —
2O2+2O —> 2O3 + তাপ

Q. কী কী কারনে ওজোনস্তরের ক্ষয় (ধ্বংস ) হয়? অথবা
ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয় কেন ?
ANS: ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট এই দুই কারণে ওজনস্তর ধ্বংস হয়।
i) প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ওজনস্তরের ক্ষয়ঃ নিম্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোক রশ্মি শোষণ করে ওজোন অণু অক্সিজেন পরমাণুতে বিভাজিত হয়।
O3 + hv ––> [O] + [O]
বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রিক অক্সাইড-ও ওজোন অণুকে বিভাজিত করে।
O3 + NO —> O2 + NO2
ii) মনুষ্যসৃষ্ট কারণঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ারে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট প্লেনের যাত্রায় জ্বালানির দহনে উৎপন্ন নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ(NOx) এবং ট্রপোস্ফিয়ার থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়া আগত  ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) যৌগসমূহ ওজোন স্তরের ক্ষয় সাধন করে। 
ওজোন স্তর ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহের ভূমিকাঃ প্রকৃতিতে দূষণের ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলো ওজোনকে (O3) অক্সিজেনে(O2) বিয়োজিত করে। ফলে ওজোন স্তর পাতলা হয় ।

ওজোন স্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Q. ওজোন স্তর ধ্বংসে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর ভূমিকা লেখ।
ANS: ওজোন স্তর ধ্বংসে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর ভূমিকাঃ বর্তমানে শিল্পে প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) ওজোন স্তরের ক্ষতি সাধন করছে। নিষ্ক্রিয় ও অদাহ্য হওয়ায় এই CFC গ্যাসগুলি দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌছে ওজোনস্তর ধ্বংসে অনুঘটক রূপে কাজ করে। স্ট্রাটোস্ফিয়ারে CFC অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে বিভাজিত হয়ে সক্রিয় CI (মুক্তমূলক) উৎপন্ন করে। এটি ওজোনকে(O3) ভেঙে অক্সিজেনে(O2) বিয়ােজিত করে।
CFCl3 —(UV)—> CFCl2 + Cl, 
Cl + O3 —> ClO + O2,
ClO + O3 — Cl + 2O2

Q. ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি লেখ।
ANS: ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষতিকারক প্রভাব
পৃথিবীকে ঘিরে থাকা ওজোনস্তরের ক্ষতি হওয়ার ফলে বেশি পরিমাণে অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৌঁছাচ্ছে। তার ফলে যে ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো দেখা যাচ্ছে তা হল — (I) মানুষের উপর প্রভাব – মানুষের ত্বকে ক্যান্সার, চোখে ছানি পড়া, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে  
(II) প্রাণীর ওপর প্রভাব — নিম্ন শ্রেণীর প্রানীর বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার ব্যাহত হচ্ছে, প্রাণীর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। 
(III) উদ্ভিদের ওপর প্রভাব — কয়েক শ্রেণীর উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়,  উদ্ভিদের পাতা, ফল ও বীজের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়
(IV) পরিবেশের উপর প্রভাব — পৃথিবীতে উষ্ণতার বৃদ্ধি ঘটবে।

ওজোন স্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Q. গ্রিনহাউস কি?
ANS: গ্রীন হাউস হল কাচের দেওয়াল ও ছাদযুক্ত এক বিশেষ ধরনের ঘর যার ভেতরে শীতপ্রধান দেশে সবজি ও ফল চাষ করা হয়। দিনের বেলা সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোক তরঙ্গ খুব সহজেই ঐ কাচ ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করে কিন্তু প্রতিফলিত হয়ে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্টও আলোক তরঙ্গে পরিণত হয়। ঐ দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট প্রতিফলিত রশ্মি পুনরায় কাচ ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না ফলে ঘরের অভ্যন্তরে সর্বদা উষ্ণ থাকে।

Q. গ্রীন হাউস এফেক্ট কাকে বলে?
ANS: বায়ুমন্ডলের গ্যাসীয় পদার্থ সমূহ সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকে পৃথিবীতে প্রবেশ করতে বাধা দেয় না কিন্তু পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে উত্তপ্ত হয়। বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস দ্বারা শোষিত এই তাপের কিছুটা পৃথিবীপৃষ্ঠে ফিরে আসে হলে ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে সবুজ ঘর প্রভাব বা গ্রীন হাউস এফেক্ট বলে।

Q. গ্রীন হাউস গ্যাসগুলো কি কি ?
ANS. গ্রীন হাউস গ্যাস গুলো হল – কার্বন-ডাই-অক্সাইড(CO2) জলীয় বাষ্প, মিথেন(CH4), CFC, ওজোন(O3)এবং নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ ।
*** N2, O2 গ্রীন হাউজ গ্যাস নয় ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Q. গ্রিনহাউস গ্যাস ও গ্লোবালওয়ার্মিং-এর সম্পর্ক লেখাে  
ANS: বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত যে সকল গ্যাস দীর্ঘতরঙ্গ যুক্ত অবলােহিত আলাে শােষণ করে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায়, তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলা হয়। যেমন – CO2 , CH4, CFC, O3 ইত্যাদি।   প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে যাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। অর্থাৎ গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণ।

Q. বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কী বােঝায়? 
ANS. বিশ্ব উষ্ণায়ন: মানুষের বিবিধ ক্রিয়াকলাপের ফলে ট্রপােস্ফিয়ারে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে সারা বিশ্বজুড়ে বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই ঘটনাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রতিবছর প্রায় 0.05°C করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Q. গ্রিন হাউস প্রভাব কীভাবে জীব জগতের অস্তিত্ব রক্ষায় সাহায্য করে?
ANS. গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সমগ্র জীবকুলের বেঁচে থাকার অনুকূল হয় এবং এই প্রভাবের জন্য দায়ী গ্যাসগুলি যদি বাতাসে না থাকতাে তবে পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা –30°C এর কাছাকাছি হতাে। ফলে জীব জগতের অস্তিত্বই থাকতাে না। সেই দিক থেকে বলতে গেলে গ্রিন হাউস প্রভাব জীবজগতের ও উদ্ভিদজগতের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। 

ওজোন স্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Q. গ্রীন হাউস এফেক্ট বৃদ্ধির প্রভাবগুলি লেখ।
ANS. গ্রীন হাউস এফেক্ট বৃদ্ধির প্রভাব –
(i) পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ার কারণে হিমবাহের গলনের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল গুলির জলমগ্ন হবে
ii)  উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে নানা অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন হবে যার ক্ষতিকর প্রভাব কৃষিক্ষেত্রে এবং জীবজগতের উপর পড়বে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় এর সংখ্যা বাড়বে
iii) উষ্ণতা বাড়ার ফলে মহামারী সৃষ্টিকারী রোগ-জীবাণুর অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি হবে iv)  উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ ঘটবে
v) অধিক বাষ্পীভবনের ফলের মেঘের ছাউনি প্রসারিত হবে ফলে কোথাও অতিবৃষ্টি এবং কোথাও বা অনাবৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে 

Q. বিশ্ব  উষ্ণায়নের জন্য দায়ি CH4 এবং N2O এর উৎস কী?
ANS. * CH4 এর উৎস: পচা জৈব আবর্জনা, গবাদি পশুর মল, কিংবা ধানক্ষেত থেকে নির্গত CH4 গ্যাস
** N2O এর উৎস: কৃষি জমিতে ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সার ও দাবানল ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Q. বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর উপায়গুলি লেখ।
অথবা গ্রিন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি লেখাে। 
ANS. বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর উপায়ঃ বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে হলে গ্রীন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হওয়া কমাতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে —
i) জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা পেট্রোলিয়াম ইত্যাদির ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তি (সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদি) বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
ii) জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত যানবাহনের ব্যবহার কমাতে হবে তার পরিবর্তে সৌর বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হবে হবে।
iii) অরণ্য ধ্বংস হ্রাস এবং বৃক্ষরোপণ ও বনসৃজন করে অরণ্যের আচ্ছাদন বৃদ্ধি করতে হবে
iv) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন বা CFC গ্যাসের উৎপাদন এবং ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
v) নাইট্রোজেনঘটিত অজৈব সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর ফলে বাতাসে N2O এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
vi) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং মানুষকে বিশ্ব উষ্ণায়নের কুফল সম্বন্ধে সচেতন করতে হবে।

ওজোন স্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Q. গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে পরিবেশের উপর যে প্রতিকূল প্রভাব পড়েছে তা আলােচনা করাে।
ANS. গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে বিশ্বউষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে পরিবেশের উপর সুদূরপ্রসারী যে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে সেগুলি হলাে–
(i) সমুদ্র জলের পরিবর্তন: মেরু অঞ্চলের ও বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলের জমা বরফ গলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখিয়েছেন যে 2050 সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে সমুদ্র উপকূলের অনেক স্থলভাগ সমুদ্রের তলায় চলে যাবে।
(ii) জলবায়ুর পরিবর্তন : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে উষ্ণমণ্ডলের দেশগুলিতে গ্রীষ্ম ঋতু দীর্ঘায়িত হবে ও মেরু অঞ্চলের শীত বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বজুড়ে বৃষ্টিপাত চক্র বিঘ্নিত হবে। ফলে অসময়ে বন্যা, খরা, ঝড়ঝঞ্ঝা ইত্যাদি হবে।
(iii) ফসলের ওপর প্রভাব : অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির প্রভাবে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে।
(iv) পরিবেশের ওপর প্রভাব : দাবানল বৃদ্ধি পাবে, পানীয় জলের যােগান কম হবে ও পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত হবে।
(v) স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব : উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জীবাণু সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাইরাস ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াঘটিত রােগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে ফলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, হাঁপানি, অ্যালার্জী বৃদ্ধি পাবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!